হার্ট সুস্থ রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ

হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ বর্তমান সময়ে হৃদয়ের রোগ শুধু উন্নত বিশ্বে নয় বাংলাদেশের সহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও  ভয়াবহ বিস্তার লাভ করছে। 

যেহেতু ভেতর রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা জটিল ও ভয়াবহুল। এজন্য এ রোগ প্রতিরোধের দিকে জোর দিতে হবে।

পেজ সুচি পত্রঃ হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ  

মানব জীবনের জন্য সুস্থ হার্ট 

জীবনের জন্য শুধু সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ মানুষ। সুতরাং হাটকে সুস্থ রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। সুস্থ হাটের জন্য তিনটি বিষয় মেনে চলা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম খাদ্য গ্রহণ মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা পরিহার এবং ধূমপান ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগ করতে হবে।প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হার্টকে বিশ্রাম ও পুনরুজ্জীবিত করে।মেডিটেশন, গান শোনা বা প্রিয় কাজ করা মানসিক চাপ কমায়।

আর পড়ুনঃমানব জীবনে খাদ্য স্বাস্থ্য চিকিৎসা সবই প্রয়োজন

হৃদপিণ্ড শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত পৌঁছে দেয়। এতে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি কোষে পৌঁছে যায়।এবং সুস্থ হার্ট শরীরকে কর্মক্ষম রাখে, ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে।সুস্থ হৃদপিণ্ড শরীরকে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবংকোলেস্টেরলজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকলে আয়ু বৃদ্ধি পায় এবং জীবনযাত্রা হয় আরামদায়ক।

হার্ট সুস্থ থাকলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ হয়, ফলে মানসিক চাপ, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ কমে যায়।হার্ট সুস্থ রাখার উপায়ঃ চর্বি, অতিরিক্ত লবণ ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা (ধ্যান, নামাজ, যোগব্যায়াম ইত্যাদি)।নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা (হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং ইত্যাদি)।

হার্ট সুস্থ রাখায় নিয়মিত ব্যায়াম 

হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ   সুস্বাস্থ্যের জন্য নিহত ব্যায়াম অপরিহার্য। আজকে সবল রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম করার জন্য সুপার অ্যাথলেট হওয়ার প্রয়োজন নেই। যে কেউ ব্যায়াম করতে পারে ব্যায়াম কে আনন্দে বিষয় মনে করলে এটা অভ্যাসে পরিণত হবে। এই মন ব্যায়াম নির্বাচন করতে হবে যেটা করতে ভালো লাগবে।গ্রুপ করে ব্যায়াম করা যায়। 

ফুটবল বাস্কেটবোর্ড ব্যাডমিন্টন প্রভাতী খেলার মাধ্যমে আনন্দ যেমন পাওয়া যায় এবং ব্যায়াম  হয়। যে কেউ যেকোনোভাবে অনুসরণ করতে পারে। যেমন হাঁটার মাধ্যমে দাম হয় তরীখানা ও দৌড়ানো এবং বাইসাইকেল চালের মাধ্যমে ব্যায়াম হয়। শারীরিক পরিশ্রম এক ধরনের ব্যায়াম বল হয়। তাই হাটকে সুস্থ রাখতে শারীরিক পরিশ্রম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন।

এবং ব্যায়ামের ফলে শরীরের রক্তনালী প্রসারিত হয়, ফলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকে।হালকা ও নিয়মিত ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের অন্যতম কারণ। ব্যায়াম শরীরের ক্যালোরি খরচ করে ওজন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাটুন 

হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ।প্রথমে হাঁটার পরিমাণ বা সময় সময় নেই ২০ থেকে ৩০ মিনিট করুন এবং ধীরে ধীরে এক ঘন্টায় নিয়ে আসুন।সকালে খাবার খাওয়ার পূর্বে এবং রাতের খাবারের পরে পাটা খুবই ভালো। কোন দোকানে যাচ্ছেন কিংবা যাবেন সেক্ষেত্রে হেঁটে যান হেঁটে গেলে শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এতে করে শরীরের ব্যায়াম হয়।

এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হলে ক্যালেন্ডার চিহ্ন দিয়ে রাখুন যাতে কবে কখন ব্যায়াম করবেন তা বুঝতে পারেন। সপ্তাহে ৩০ থেকে ৬০ বার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন সাঁতার কাটতে পারেন সাইকেল চালাতে পারেন। ব্যায়াম শেষে পানি পান করুন। এটি মেডিনেশন করার হার্টের জন্য খুবই ভালো।

বিশেষ কথা ৪০ থেকে ৪২ বছরের অধিক বয়সে হঠাৎ করে ব্যায়াম করা উচিত নয়।পূর্বের ব্যায়ামগুলো করাই ভালো। ব্যায়াম করার সময় শরীরে কোনরকম অসুস্থ তো বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম না করার উপায়। এবং অতিরিক্ত কষ্ট হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিয়মিত  ব্যায়াম করুন এতে শরীর  মন দুটোই ভালো থাকে। 

সুস্থ হার্টেরে অধিকারী সুষম খাদ্য গ্রহণ 

বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন ।সুস্থ হাটের অধিকারী হওয়ার জন্য সুষম খাদ্য খুবই জরুরী। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং দরিদ্রতা বিভিন্ন রোগের কারণ থেকে।যেমন সুষম খাবার সম্পর্কে অনেকে জানে না। সুষম খাওয়ার সম্পর্কে সবারে জানা উচিত।বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাস জাতীয় খাবার অত্যধিক পছন্দ এছাড়াও তারা কাইফ শ্রম করতে চায়না।

এ ফাস্টফুড খাওয়াই দারুন এবংপরিশ্রম হবে নারী শিশু উঠতি বয়সে তরুণ তরুণীরা নানা বিধি জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন শরীরের হৃদয়ে রোগ ডায়াবেটিস কিডনি রোগ ক্যান্সার এবং দীর্ঘমেয়াদী পেটের পিঠার মতো জটিল সমস্যা। অসতো আমাদের চারিদিকে নানা ধরনের শাকসবজি রয়েছে। দেশে ফল যেমন কলা কামরাঙ্গা আমলকি আনারস,পেয়ারা।

পেঁপে,বড়ই,আমড়া, জলপায়, কাঁঠাল, ডালিম,লেবু ইত্যাদি ফল রয়েছে। এগুলো যেমন সস্তা তেমনি সহজলভ্য। এসব ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব। সুষম খাদ্য গ্রহণ জীবনকে সুন্দর করে তোল। শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।রক্তে কোলেস্টেরল কমায় এবং ধমনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখে।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত 

হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ   প্রচুর পরিমাণে ফলমূল শাকসবজি খান। অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন তিন গ্রামের অধিক লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়। সকালের নাস্তা এবং দিনে তিনবার খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। করা এবং অতিরিক্ত তেলে ভাজার হাপা সিদ্ধ ঝলসানো বেকিং করে রান্না করে খেতে হবে। অর্থাৎ রান্নাটি মানসম্মত হতে হবে।

মিষ্টি এবং স্বরূপা জাতীয় খাবার ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সুস্থ জাতীয় খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করতে হবে। কম চর্বিযুক্ত এবং চর্বাহীন খাবার খেতে হবে।উদ্ভিদ জাতীয় তেল রূপচাঁদা কণ অয়েল খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করতে হবে। মাছ,মাংস,মুরগির, ডিম,এবং ডাল জাতীয় যে কোন খাবার এবং চরবিহীন মাংস গ্রহণ করতে হবে।ডিমের,কুসুম,চিংড়ি,মাছ,গরুর,মাংস,খাসির মাংস ও মগজ পরিহার করুন। খাবারের বিভিন্ন ক্ষতিকর কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা পরিহার এবং ধূমপান নেসা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগ করুন।

হার্টের কাজ হলো পরিশুদ্ধ রক্ত সমস্ত  দেহের সরবরাহ করা।যদি কেউ ধূমপান করে থাকে কিংবা নিষিদ্ধ ড্রাগ নেয তাহলে তারা হাটের অতিরিক্ত সমস্যা হতে পারে। অধিক পরিশ্রম করলে আমরা যেমন প্ররিশ্রান্ত হয়ে পড়ি তৎপর হাটো ক্লান্ত হয়ে যায়। এরূপ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে হার্ট রোগান্ত হতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপান করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।

এবং হৃদয়ে রোগের মৃত্যুহার বহু গুনে বেড়ে যায়।সুতরাং ধূমপান করা মোটে উচিত নয়। কেউ ধূমপান করলে এখনো ছেড়ে দিন। আরো প্রমাণিত হয়েছে যেসব ধূমপানীয় ১১ বছর যাবত ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করেছে তাদের হঠাৎ করে হৃদয়ে রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে গেছে যেকোনো ধরনের নেশা জাতীয় ড্রাগ হার্টের মারাত্মক ক্ষতি। 

করে তাই সকল নেশা জাতীয় দ্রব্য ত্যাগ করা উচিত। এমন কিছু ডাক্তারের ব্যক্তির সং ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। উপরের নিয়ম কারণগুলো মেনে ডায়াবেটিস উত্তরোক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে ও সু হিস্তির জীবন যাপনের মাধ্যমিক হিটার ও প্রতিরোধ ও সম্ভব হয়ে ওঠে। 

শেষ কথাঃ

হার্ট সুস্থ  রাখার সঠিক উপায় ও নিয়ম কানণ। মানব জীবনের প্রাণকেন্দ্র হলো হৃদপিণ্ড। হার্ট সুস্থ থাকলে শরীর ও মন দুটোই সক্রিয় ও প্রাণবন্ত থাকে।তাই নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, মানসিক প্রশান্তি ও ক্ষতিকর অভ্যাস পরিহার করার মাধ্যমে আমরা সহজেই সুস্থ হার্ট গড়ে তুলতে পারি।এবং হৃদপিণ্ড কেবল শরীরের অঙ্গ নয়, এটি মানব জীবনের চালিকাশক্তি। যদি হার্ট সুস্থ থাকে তবে জীবন হবে শক্তিশালী, প্রফুল্ল ও কর্মমুখর। আর যদি হার্ট অসুস্থ হয় তবে পুরো শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এখন থেকেই নিজের হার্টের যত্ন নেওয়া আমাদের কর্তব্য। সুস্থ হার্টই সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জ্যাম ফ্লোরা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url