মেয়েদের জন্য আরও ৫ টি লাভ জনক ব্যাবসা
মেয়েদের জন্য আরও ৫ টি লাভ জনক ব্যাবসা।বর্তমান সময়ে মেয়েরা শুধুমাত্র ঘর-সংসারের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ নেই; বরং শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তারা সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসার ক্ষেত্রে মেয়েরা নিজেদের সৃজনশীলতা, ধৈর্য আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করছেন।আজকের বিশ্বে ব্যবসা শুধু পুরুষের ক্ষেত্র নয়, বরং নারীরাও ঘরে বসে কিংবা বাইরে গিয়ে সহজেই আয় করতে পারছেন।
পেজ সুচি পত্রঃ মেয়েদের জন্য আরও ৫ টি লাভ জনক ব্যাবসা
অনলাইন কোর্স ও টিউটরিং করে আয়
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন কোর্স ও টিউটরিং। আগে যেখানে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে কোচিং বা টিউশনে যোগ দিতে হতোএখন ঘরে বসেই বিশ্বসেরা শিক্ষক বা টিউটরের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।অনলাইন কোর্স বলতেঃ অনলাইন কোর্স হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়, দক্ষতা বা বিষয়ে সাজানো পাঠক্রম।এটি সাধারণত ভিডিও লেকচার, অডিও ক্লাস, লাইভ ক্লাস, ই-বুক, কুইজ এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বিষয় ভিত্তিক কোর্স: যেমন প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভাষা শিক্ষা।দক্ষতাভিত্তিক কোর্স: যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং।অ্যাকাডেমিক কোর্স: স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার বিষয়ভিত্তিক কোর্স। অনলাইন টিউটরিং বলতে কি বিঝাই: অনলাইন টিউটরিং হলো এক ধরনের শিক্ষাদান ব্যবস্থা যেখানে একজন শিক্ষক বা টিউটর লাইভ ভিডিও ক্লাস, চ্যাট বা ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পড়ান।যেমন:একজন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে পড়ান। এবং গ্রুপ টিউটরিং:একজন শিক্ষক একসাথে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পড়ান।
অনলাইন কোর্স ও টিউটরিং-এর সুবিধা যেকোনো জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করা যায়।স্থানীয় নয়, আন্তর্জাতিক শিক্ষকরাও কোর্স পরিচালনা করেন।প্রচলিত শিক্ষার তুলনায় কম খরচে শেখা যায়।বারবার শোনার মাধ্যমে শেখা আরও সহজ হয়। অনলাইন টিউটরিং-এ শিক্ষার্থী তার প্রয়োজন অনুযায়ী শিখতে পারে।অনলাইন কোর্স ও টিউটরিং-এর অসুবিধাঃ ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হলে সমস্যা হয়।সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ কমে যায়।আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ছাড়া শেখা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ কথা ডিজিটাল যুগে অনলাইন কোর্স ও টিউটরিং হলো শিক্ষার এক নতুন ধারা।এটি শুধু পড়াশোনায় নয়, ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে।
হ্যান্ডক্রাফট ও গিফট আইটেম শপ মধ্যমে আয়
আজকের যুগে হ্যান্ডক্রাফট ও গিফট আইটেম শপ শুধু ব্যবসা নয়, বরং এটি একধরনের সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এই ধরনের দোকানে সাধারণত হাতে তৈরি (Handmade) নানান জিনিসপত্রআকর্ষণীয় এবং ব্যক্তিগত ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দারুণ উপযুক্ত।কেন হ্যান্ডক্রাফট শপ জনপ্রিয়ঃপ্রতিটি হ্যান্ডক্রাফট জিনিস একেবারেই আলাদা এবং বিশেষ।
অনেক সময় এসব আইটেম স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বা হস্তশিল্পকে তুলে ধরে।প্রিয়জনের জন্মদিন, বিয়ে, বার্ষিকী বা যেকোনো বিশেষ দিনে উপহার দেওয়ার জন্য এগুলো অনেক উপযুক্ত।এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করলে স্থানীয় কারিগররা আর্থিকভাবে লাভবান হন।শপে যেসব জিনিস পাওয়া যাইঃ হাতে তৈরি জুয়েলারি,কাঠ, মাটি বা ধাতুর শো-পিস,এমব্রয়ডারি।
বা,ক্যানভাস ওয়াল হ্যাঙ্গিংকাস্টমাইজড গিফট বক্স ও গ্রীটিং কার্ডহ্যান্ডক্রাফটেড হোম ডেকর (ল্যাম্পশেড, কুশন কভার, ফুলদানি ইত্যাদি)।ব্যবসার সম্ভাবনাঃবিশেষ করে অনলাইনে ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রাম শপ বা ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে সহজেই এসব পণ্য বিক্রি করা যায়।বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই হ্যান্ডক্রাফট ও গিফট আইটেমের বিশাল চাহিদা রয়েছে।
ইভেন্ট প্ল্যানিং ও ডেকোরেশন সার্ভিস করে আয়
আধুনিক সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় ও আকর্ষণীয় করে তুলতে ইভেন্ট প্ল্যানিং ও ডেকোরেশন সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিয়ে, জন্মদিন, কর্পোরেট ইভেন্ট, সেমিনার বা যেকোনো বিশেষ দিনকে সুন্দরভাবে সাজাতে পেশাদার ইভেন্ট প্ল্যানার ও ডেকোরেটরদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ইভেন্ট প্ল্যানিং ও ডেকোরেশন জনপ্রিয় সার্ভিসঃসময় ও পরিশ্রম বাঁচায়।
আয়োজকদের সব কাজ নিজে সামলাতে হয় না।প্রফেশনাল টাচ--বিশেষজ্ঞদের সৃজনশীলতা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।কাস্টমাইজড আয়োজন --বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী থিম, সাজসজ্জা ও প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।এবংমনোমুগ্ধকর সাজসজ্জা ও পরিকল্পনা অতিথিদের মনে দীর্ঘদিন ধরে থাকে। যেসব সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত থাকেজন্মদিন।
ও ব্যক্তিগত পার্টি আয়োজনকর্পোরেট ইভেন্ট (সেমিনার, কনফারেন্স, প্রোডাক্ট লঞ্চ)সাউন্ড, লাইটিং ও ফটোগ্রাফি ম্যানেজমেন্টইনভাইটেশন কার্ড, গিফট আইটেম ও সুভেনির ম্যানেজমেন্ট বিয়ে ও ওয়ালিমা প্ল্যানিং (স্টেজ ডেকোরেশন, ফুলের কাজ, লাইটিং, ক্যাটারিং ম্যানেজমেন্ট)ব্যবসার সম্ভাবনাঃবাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এই সার্ভিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সামাজিক অনুষ্ঠান, কর্পোরেট ইভেন্ট কিংবা সরকারি। এবং - বেসরকারি প্রোগ্রাম—সবখানেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রয়োজন হয়।প্রয়োজনীয় দক্ষতাঃসৃজনশীল চিন্তাভাবনা,বাজেট ম্যানেজমেন্ট,ভালো যোগাযোগ দক্ষতা,টিমওয়ার্ক ও লিডারশিপ,সময়মতো কাজ শেষ করার সক্ষমতা।ইভেন্ট প্ল্যানিং ও ডেকোরেশন সার্ভিস শুধুমাত্র একটি ব্যবসা নয়, বরং এটি হলো সৃজনশীলতার শিল্প।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করে আয়
ফটোগ্রাফি হলো ছবি তোলার শিল্প ও প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কোনো মুহূর্ত, দৃশ্য বা আবেগকে স্থিরচিত্রে বন্দী করা যায়।আধুনিক ক্যামেরা, মোবাইল বা ড্রোন ব্যবহার করে আজকাল সহজেই দারুণ মানের ছবি তোলা সম্ভব।ফটোগ্রাফি শুধু একটি শখ নয়, বরং এটি একটি পেশা ও সৃজনশীল অভিব্যক্তির মাধ্যম।ফটোগ্রাফির পথম ধরণগুলো হলো: মানুষের ছবি, আবেগ ও ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দৃশ্যাবলি ধারণ করা।ব্যবসায়িক কাজে পণ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা।ইভেন্ট ফটোগ্রাফি-- বিয়ে, জন্মদিন, কনসার্টসহ নানা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় রাখা। ভিডিওগ্রাফি হল চলমান দৃশ্য ধারণ ও উপস্থাপনের শিল্প।এতে ক্যামেরার পাশাপাশি আলো, শব্দ এবং এডিটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে শুধু ছবি নয়, বরং গল্প, আবেগ ও পরিবেশকে একসাথে ফুটিয়ে তোলা যায়।ভিডিওগ্রাফির পথম ধরণগুলো হলো:ডকুমেন্টারি ভিডিওগ্রাফি - বাস্তব ঘটনা ও তথ্যচিত্র ধারণ।ফিল্ম ও শর্টফিল্ম মেকিং -গল্পভিত্তিক ভিডিও নির্মাণ।মিউজিক ভিডিও--গানের সাথে সৃজনশীল দৃশ্য উপস্থাপন।কর্পোরেট ও মার্কেটিং ভিডিও --ব্যবসা ও ব্র্যান্ডের প্রচারণা।
এবং,ইভেন্ট ভিডিওগ্রাফি-- বিবাহ, অনুষ্ঠান ও কনফারেন্স ধারণ।ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির গুরুত্ব:স্মৃতি ধরে রাখা,ব্যবসায়িক প্রচারণা,শিল্প ও সৃজনশীলতার প্রকাশ,শিক্ষা ও তথ্য পরিবেশন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কনটেন্ট তৈরিতে ব্যবহার।
পোষা প্রাণী যত্ন ও পেট শপ করে আয়
পোষা প্রাণী শুধু আনন্দের সঙ্গী নয়, বরং পরিবারেরই একজন সদস্যের মতো।তাদের সুস্থতা, সঠিক খাবার, নিয়মিত যত্ন এবং ভালোবাসা দেওয়াই আসল দায়িত্ব।পোষা প্রাণী যত্ন প্রতিটি প্রাণীর আলাদা খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।বিড়ালদের জন্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দরকার, কুকুরদের জন্য ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার জরুরি।মাছ, পাখি কিংবা খরগোশের জন্য বিশেষ খাদ্য আলাদা করে সরবরাহ করতে হয়।স্বাস্থ্য পরিচর্যা করুন নিয়মিত ভ্যাকসিন, কৃমিনাশক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়।পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিচর্যা করা উচিত।
নিয়মিত গোসল, লোম ব্রাশ করা ও নখ কাটাও যত্নের অংশ। পরিবেশ ও বাসস্থানপরিচ্ছন্ন খাঁচা বা বিছানা দেওয়া জরুরি।পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও খেলাধুলার জায়গা থাকা উচিত।মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খেলা, হাঁটা ও সঙ্গ দেওয়া দরকার।পোষা প্রাণীর যত্ন (Pet Care) এবং পেট শপ ব্যবসা এখন একটি সম্ভাবনাময় খাত।মানুষ এখন কেবল শখের বশেই নয়, বরং জীবনধারার অংশ হিসেবে পোষা প্রাণী পালন করে থাকে।
পেট শপ খোলা: বিড়াল, কুকুর, পাখি, খরগোশ, মাছ ইত্যাদি বিক্রি করা যায়।খাবার, ওষুধ, খেলনা, খাঁচা, বেড, বাথ জেল, ক্যাট লিটার ইত্যাদি সরবরাহ করলে গ্রাহক বেশি হবে।অনলাইনেও পণ্য ডেলিভারি দিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি করা যায়।পোষা প্রাণীর খাবারের ব্যবসা: কুকুর, বিড়াল বা মাছের জন্য বিশেষ খাবার আলাদা আলাদা ব্র্যান্ড থেকে এনে বিক্রি করা যায়।
ঘরে তৈরি পোষা প্রাণীর খাবার তৈরি করে ব্র্যান্ডিং করতে পারেন।পশুর চুল কাটা, গোসল করানো, নখ কাটা, ফার কেয়ার, টিকটিকি বা উকুন দূর করার বিশেষ সেবা দিতে পারেন।পোষা প্রাণীর ডাক্তার ও ভ্যাকসিন সেবা:ভেটেরিনারি ডাক্তারদের সঙ্গে চুক্তি করে টিকা দেওয়ার সেবা চালু করা যায়।ছোটখাটো প্রাথমিক চিকিৎসা, ভ্যাকসিনেশন, চেকআপ করলে গ্রাহকের আস্থা বাড়ে।
হোটেল সার্ভিস:অনেকেই ভ্রমণ বা বাইরে গেলে পোষা প্রাণী রেখে যেতে পারে না।সেই সময়ে নিরাপদে পশুদের রাখার ব্যবস্থা করলে ভালো আয় হয়।অনলাইন( Pet Shop & Deliver) ফেসবুক পেজ/ওয়েবসাইটে পোষা প্রাণীর খাবার, খেলনা, ওষুধ, কসমেটিক্স বিক্রি করা যায়।হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিলে অনলাইন ক্রেতা দ্রুত বাড়বে।
নিয়ন্ত্রিত ও আইনসিদ্ধ উপায়ে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ বা পাখির ব্রিডিং করে বিক্রি করা যায়।তবে এর জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিয়ম মানা জরুরি।আয়ের সম্ভাবনা:ছোট আকারে পেট শপ শুরু করলে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় সম্ভব।সঠিকভাবে পরিচালনা করলে, Grooming,Boarding,Online Delivery একসাথে করলে আয় ৫০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা করে আয়
ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা এখন খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা।যেভাবে ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা করে আয় করবেন:জুয়েলারি (কানের দুল, আংটি, চেইন, ব্রেসলেট)হ্যান্ডব্যাগ, পার্স ও ওয়ালেট,ঘড়ি, বেল্ট ও সানগ্লাস,চুলের অ্যাক্সেসরিজ (হেয়ার ক্লিপ, হেডব্যান্ড, স্ক্রাঞ্চি), স্কার্ফ, টুপি ও ফ্যাশনেবল শাল।ব্যবসা শুরুর জায়গা:ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Daraz, AjkerDeal, Evaly ইত্যাদি)।অফলাইন দোকান -- ছোট বুটিক, শপিং মল বা ফ্যাশন স্টলে বিক্রি করা।হোম-বেসড ব্যবসা --বাড়িতে তৈরি বা পাইকারি জিনিস নিয়ে অল্প মূল্যে বিক্রি।
যেভাবে আয় করবেন:পাইকারি দামে কিনে খুচরা বিক্রি করে লাভ করা।দেশি ও বিদেশি ট্রেন্ডি প্রোডাক্ট এনে গ্রাহককে আকর্ষণ করা।ইউনিক বা হ্যান্ডমেড অ্যাক্সেসরিজ তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি।সিজনাল প্রোডাক্ট (ঈদ, পূজা, ভ্যালেন্টাইন, বিয়ে মৌসুম) এ বিশেষ কালেকশন আনলে বেশি লাভ হয়।বিনিয়োগর ও লাভ :শুরুতে ১০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা দিয়েই শুরু করা যায়।
প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে লাভের মার্জিন থাকে ৩০% থেকে ১০০% পর্যন্ত।অনলাইনে ভালো মার্কেটিং করলে মাসে ২০,০০০ -১ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় সম্ভব।মার্কেটিং টিপস: আকর্ষণীয় ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন।ছোট ভিডিও/রিলস বানিয়ে দেখান।গ্রাহকের রিভিউ শেয়ার করুন।হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিন।
শেষ কথাঃ ০৮
মেয়েদের জন্য আরও ৫ টি লাভ জনক ব্যাবসা। নারীরা চাইলে খুব সহজেই নিজের দক্ষতা, আগ্রহ ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প মূলধন থেকে একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে খুব সহজে পণ্য বা সেবা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তাই সফল হতে হলে ধৈর্য, পরিকল্পনা ও মানসম্মত সেবা বজায় রাখা জরুরিমনে রাখতে হবে, ব্যবসায় শুধু আয় নয় বরং আত্মবিশ্বাস, স্বাবলম্বিতা এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিই আসল অর্জন।
জ্যাম ফ্লোরা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url