মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা

মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা   তালিকা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখা দেওয়া হলো, যেগুলো ঘরে বসেই বা ছোট পরিসরে শুরু করা যায় এবং ধীরে ধীরে বড় করে তোলা সম্ভবঃ


বর্তমান যুগে নারীরা ঘর ও বাইরের কাজ সমান দক্ষতায় সামলাচ্ছেন। শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তা মানসিকতার বিকাশের ফলে নারীদের জন্য ব্যবসায়িক সম্ভাবনার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। 

পেজ সূচি পত্রঃ  মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা  

বিশেষ করে যারা ঘরে বসেই কিছু করতে চান বা স্বাধীনভাবে আয় করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখন নানা রকম লাভজনক ব্যবসা শুরু করার সুযোগ রয়েছে। শুধু আয় নয়, নিজের পছন্দের কাজকে পেশা হিসেবে গড়ে তোলাও সম্ভব। এই প্রবন্ধে এমন ৮টি লাভজনক ব্যবসার কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা মেয়েরা সহজেই শুরু করতে পারেন কম পুঁজি ও ঝুঁকি নিয়ে।

৮টি লাভজনক ব্যবসার কথা নিচে লেখা  হলঃ 

১.গৃহস্থালী পরিষ্কার সামগ্রীর ব্যবসা

মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা  গৃহস্থালী পরিষ্কার সামগ্রীর ব্যবসা বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবসা যেখানে ঘরবাড়ি, রান্নাঘর, বাথরুম, টয়লেট, জানালা, মেঝে, আসবাবপত্র, ইত্যাদি পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় বা বিপণন করা হয়। গৃহস্থালী পরিষ্কার সামগ্রীর ব্যবসা একটি লাভজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন খাত।

কারণ প্রতিটি ঘরেই নিয়মিত এইসব পণ্যের ব্যবহার রয়েছে। এই ব্যবসা ছোট পরিসরে শুরু করা গেলেও ধীরে ধীরে বড় আকারে বিস্তৃত করা যায়। এটি উৎপাদন, পাইকারি, খুচরা, অনলাইন বা ডিস্ট্রিবিউশন যেকোনোভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে। এই ব্যবসার চাহিদা বেশি মানুষ সবসময় পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়, তাই এই পণ্যের চাহিদা কখনো কমে না।

এই ব্যবসা করতে হলে কম মূলধন লাইসেন্স ও অনুমোদনঃ কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে সরকার থেকে অনুমোদন বা মান যাচাই প্রয়োজন হতে পারে (বিশেষ করে কেমিক্যাল পণ্য হলে)।হলেও হয় চাইলে ঘরে বসে নিজে ডিশ ওয়াশ বা ফ্লোর ক্লিনার তৈরি করে বাজারজাত করতে পারেন।বাজার জাতকরণঃস্থানীয় দোকান, সুপারশপ, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (Daraz, Facebook Page) — সব জায়গায় বিক্রি করা যায়।

২. নবজাতক ও মায়েদের জন্য পণ্য বিক্রি

নবজাতক এবং মায়েদের জন্য পণ্য বিক্রির ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশসহ অনেক দেশে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চাহিদা সারাবছর থাকে:শিশু জন্ম একটি নিরবিচার প্রক্রিয়া, ফলে বছরে সবসময়ই মা ও শিশুদের জন্য পণ্যের চাহিদা থাকে।বিশেষায়িত পণ্যের প্রয়োজন: নবজাতক ও মা'দের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পণ্যের চাহিদা অন্য যেকোনো সেক্টরের তুলনায় বেশি।ই-কমার্সের উত্থান: অনেকেই ঘরে বসেই এসব পণ্য কিনতে চায়, তাই অনলাইন স্টোর খুললেও ভালো লাভ সম্ভব।

কি কি পণ্য বিক্রি করা যায় শিশুদের জন্য:ডায়াপার, ওয়াইপস,ফিডিং বোতল, নিপল, স্টেরিলাইজার,বেবি লোশন, শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ,বেবি বেড, মশারী, ক্যারিয়ার,নবজাতকের মেডিসিন বক্স, থার্মোমিটার।মায়েদের জন্য:হেলথ ড্রিংক, সাপ্লিমেন্ট (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী) স্কিনকেয়ার, হাইজিন প্রোডাক্ট,প্রসব পরবর্তী বেল্ট, কোমরবন্ধনী,ম্যাটারনিটি জামা,কুর্তি।

৩.ফেসবুক লাইভে পণ্য বিক্রি

ফেসবুক লাইভে পণ্য বিক্রি বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি সরাসরি আপনার গ্রাহকদের সাথে কথা বলে পণ্য উপস্থাপন করতে পারেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন ।যে ভাবে পণ্যের প্রস্তুতি নিবেন লাইভে দেখানোর জন্য পণ্যগুলো সুন্দরভাবে সাজান।প্রতিটি পণ্যের দাম।বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, ও স্টক সম্পর্কে তথ্য জেনে নিন।

এবং ভালো মানের মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে আপনার মুখ এবং পণ্যের উপর। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে লাইভ করার সময় ইন্টারনেট যেন দ্রুত ও স্থিতিশীল হয় তা নিশ্চিত করুন।লাইভের সময় ঠিক করুন: সন্ধ্যা বা রাত ৮টার পর বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে থাকে।নির্দিষ্ট দিন এবং সময় ঠিক করে নিয়মিত লাইভ করুন।

পোস্ট করে জানান:লাইভ শুরু হওয়ার ২-৩ ঘণ্টা আগে একটি পোস্ট দিয়ে জানান।আজ রাত ৯টায় থাকছে নতুন কালেকশন লাইভ সেল, আকর্ষণীয় অফার ও উপহারসহ মিস করবেন না।শুরুতে নিজেকে পরিচয় দিন:আপনার নাম, পেজ বা দোকানের নাম এবং কী বিক্রি করছেন তা বলুন।পণ্য দেখান স্পষ্টভাবে:প্রতিটি পণ্য হাতে তুলে ধরে বিস্তারিত বলুন: রঙ, সাইজ, দাম, অফার ইত্যাদি।

ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ:কমেন্টে কেউ দাম বা অর্ডার জানতে চাইলে সাথে সাথে উত্তর দিন।যারা অর্ডার দিতে চান:র্ডার কনফার্ম করতে কমেন্ট করুন।  নাম, মবাইল নাম্বার, ঠিকানা।বেশি করে উৎসাহ দিন:লাইভ শেয়ার করলে,আজ ৫ জন পাবেন ফ্রি উপহার ১১জন পাবেন ডিসকাউন্ট, আপনার ইচ্ছা মত এভাবে উৎসাহিত করুন।অর্ডার সংগ্রহ ও কনফার্ম:কমেন্ট থেকে অর্ডার লিস্ট তৈরি করুন।ইনবক্সে যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করুন।প্যাকেজ ও ডেলিভারি:অর্ডার অনুযায়ী পণ্য প্যাক করে দ্রুত ডেলিভারি দিন।

৪.বিউটি পার্লার বা হোম পার্লার সার্ভিস

বিউটি পার্লার বা হোম পার্লার সার্ভিস বলতে সাধারণত এমন একটি পরিষেবা বোঝানো হয় যেখানে নারী বা পুরুষদের রূপচর্চা, ত্বক, চুল, এবং দেহের যত্ন নেওয়া হয় - সেটা একটি নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে (বিউটি পার্লার), অথবা বাসায় বসেই (হোম সার্ভিস) গ্রহণ করা যায়। বিউটি পার্লার সার্ভিস কী আসেন তা জেনে নি বিউটি পার্লার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দোকান বা সেলুন যেখানে প্রশিক্ষিত বিউটিশিয়ান বা কসমেটোলজিস্টরা নিচের ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন।

বিউটি পার্লার বা হোম পার্লার সার্ভিস যেমনচুল কাটা, সেটিং, কালার, রিবন্ডিং,মেকআপ (পার্টি/বিয়ে),ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর,ব্রাইডাল প্যাকেজ,ফেসিয়াল, স্কিন ট্রিটমেন্ট।হোম পার্লার সার্ভিস কী আসেন তা জেনে নি:হোম ফেসিয়াল,হেয়ার কাট ও ব্লো ড্রাই,ব্রাইডাল মেকআপ বাসায় গিয়ে,স্পা বা রিলাক্সিং ম্যাসাজ। 

৫.ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা শুযক

মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা।ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা বা কর্মপদ্ধতি, যেখানে একজন ব্যক্তি (যাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়) কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে এই প্রশ্নের সহজ উত্তর যে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে ইন্টারনেট বা সরাসরি ক্লায়েন্টের মাধ্যমে কোনো কাজ করে।

এবং সে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পায় তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে। এবং তার এ ধরনের স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।ফ্রিল্যান্সিংএর উপকারিতা,ঘরে বসে আয় করা।আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজের সুযোগ। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আয় বাড়ানোর সুযোগ।স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়।ফ্রিল্যান্সিং করার জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম:Fiverr,Upwork,Toptal ইত্যাদি।              

ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কাজগুলো বেশি জনপ্রিয়:গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং বা অনুবাদ ,ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেটা এন্ট্রি,SEO ( Search Engine Optimization ),অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বৈশিষ্ট্য: নির্দিষ্ট অফিস টাইম নেই।নিজের সুবিধামতো কাজ করা যায়।অনলাইন ভিত্তিক বা লোকাল কাজ—উভয়ই হতে পারে।একবার কাজ শেষ হলে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।এক বা একাধিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করা যায়।

৬.ঘরে তৈরি প্রসাধনী ও হেয়ার অয়েল

মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা   ঘরে তৈরি প্রসাধনী ও হেয়ার অয়েল এখন অনেক জনপ্রিয়, কারণ এতে কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব নেই এবং এগুলো প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় ত্বক ও চুলের জন্য নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।ঘরে তৈরি করুন: বেসন – ২ টেবিল চামচ,কাঁচা দুধ – ২ টেবিল চামচ,হলুদ গুঁড়া – ১ চিমটি,মধু – ১ চা চামচ।

যে ভাবে ব্যবহার করবেন:সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০–২৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এবং লিপ বাম:বিউটেন-১চা চামচ,নারকেল তেল -১চা চামচ,শিয়া বাটার বা কোকো বাটার-১ চা চামচ,প্রয়োজনমতো এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন ল্যাভেন্ডার)।যে ভাবে সংরক্ষ করবেন:সব উপাদান মাইক্রোওয়েভে বা ডাবল বয়লারে গলিয়ে নিন, এরপর ঠাণ্ডা করে কৌটায় ভরে সংরক্ষণ করুন।

টোনার (Natural Toner): গোলাপ জল -৩ টেবিল চামচ,অ্যাপেল সিডার ভিনেগার - ১ চা চামচ,গ্রিন টি  -২ টেবিল চামচ,যে ভাবে ব্যবহার করবেন: সব উপাদান মিশিয়ে বোতলে রাখুন। তুলায় নিয়ে মুখে ব্যবহার করুন।ঘরে তৈরি করুন নারকেল-কালোজিরা হেয়ার অয়েল:নারকেল তেল- ১ কাপ,কালোজিরা- ১ টেবিল চামচ,মেথি- ১ টেবিল চামচ,কারি পাতা ৫-৬টি।

ব্যবহারের নিয়ম:সব উপাদান হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট গরম করুন। ঠাণ্ডা করে ছেঁকে বোতলে রাখুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।পেঁয়াজ তেল (Hair Growth Oil):পেঁয়াজ রস – ১ কাপ,নারকেল তেল – ১ কাপ,রসুন – ৪-৫ কোয়া।যে ভাবে সংরক্ষ করবেন: সব উপাদান একসাথে গরম করে পানির অংশ শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে রাখুন।

৭.হোমমেইড ফুড/কেক/বেকারি ব্যবসা

হোমমেইড ফুড, কেক বা বেকারি ব্যবসা এখন বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি উদ্যোগ।। আপনি যদি রান্নায় পারদর্শী হন এবং ঘরে বসে আয় করতে চান, তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য দারুণ একটি পথ আসেন আমরা রেসিপি সম্পর্কে জেনে নি। প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কী ধরনের ফুড বা বেকারি আইটেম তৈরি করবেন।

আসেন তা নিচে জেনে নি:কেক : বার্থডে, ওয়েডিং, কাপকেক, ফটো কেক,বিস্কুট, কুকিজ, ডোনাট,পাউরুটি, বান, পিজ্জা ব্রেড,হেলদি খাবার: সালাদ, স্যুপ এবং রান্না করা খাবার: বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ভুনা খিচুড়ি, ফ্রোজেন পার্থা/নাগেট।ব্যবসার প্রস্তুতি ও সরঞ্জাম:ওভেন  যাকে ইংরেজিতে (Electric/OTG) বলা হয়।মিক্সার/ব্লেন্ডার, বেকিং প্যান, মোল্ড, কাপ,ফুড স্কেল, আইসিং টুলস।

আরও পড়ুন ঃ মেয়েদের জন্য আরও ৫ টি  লাভ জনক ব্যাবসা

হাইজিনের জন্য গ্লাভস, মাস্ক,হেয়ার ক্যাপ। লাইসেন্স ও স্বাস্থ্যবিধি:বাসা থেকে ব্যবসা করলে শুরুতে ট্রেড লাইসেন্স না হলেও চলবে,তবে ভবিষ্যতের জন্য নিতে ভালো।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, প্যাকেজিং হাইজিনিক রাখুন।মার্কেটিং এবং অনলাইন উপস্থিতি:ফেসবুকে পেজ খুলুন সুন্দর নাম, লোগো ও কাভার ফটো দিন। প্রতিটি আইটেমের সুন্দর ছবি তুলুন।

অফার/ডিসকাউন্ট দিন (প্রথম১০অর্ডারে ১০% ছাড়)রিভিউ সংগ্রহ করুন এবং পোস্টে শেয়ার করুন,ফুড ডেলিভারি অ্যাপ (Foodpanda, Pathao Food) এ যুক্ত হওয়ার চিন্তা করুন।মূল্য নির্ধারণের সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিন:কাঁচামালের খরচ,প্যাকেজিং, আপনার সময় ও শ্রম,গড় লাভের হার ৩০-৫০% ধরে রাখুন।ডেলিভারি ব্যবস্থা:নিজে করতে পারেন (আসেপাশে)।

এবংলোকাল কুরিয়ার/রাইডার ভাড়া করতে পারেন।গ্রাহক সন্তুষ্টি ও মান ধরে রাখা:সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া।জিনিসের মান বজায় রাখা।রেগুলার আপডেট ও নতুন আইটেম আনুন।উৎসবকেন্দ্রিক অফার দিন (ঈদ, ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি)।

৮.অনলাইন পোশাক বিক্রি করে আয়

আজকাল সবাই অনলাইনে পোশাক বিক্রি করতে চায়, কিন্তু অধিকাংশই ব্যর্থ হয়। কেন? কারণ সবাই একই ঘুরানোপাকানো উপায় ব্যবহার করে: Facebook Page খুলে, ২-৩টা Boost করে, তারপর অর্ডার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি: বিষয় নির্বাচন করুন:নারী পোশাক (সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, গাউন)রুষ পোশাক (পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, শার্ট)শিশুদের পোশাক ইত্যাদি।

 তৈরি:হোলসেল মার্কেট (যেমন—চাঁদনি চক, নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি)নিজে তৈরি করে (যদি আপনার কারিগরি দক্ষতা থাকে)স্থানীয় দর্জি বা বুটিক থেকে ( তবে নিজের হলে ভাল হয় )অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন:সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফেসবুক। একটি পেজ খুলুন, নিয়মিত পোস্ট দিন।ভিজ্যুয়াল মার্কেটিংয়ের জন্য খুব কার্যকর ইনস্টাগ্রাম।

এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট হল  Daraz, Pickaboo, Evaly ইত্যাদি।পারলে  নিজের ওয়েবসাইট খুলুন যেমন WordPress বা Shopify দিয়ে সহজেই বানানো যায়।পোশাকের ছবি ও ক্যাপশন:পরিষ্কার আলোতে,মডেল ব্যবহার করলে আরো বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। ক্যাপশনে লিখবেন: পোশাকেরে বিবরণ সাইজ,দাম,উপাদান,অর্ডার করতে ইনবক্স/ফর্ম/হোয়াটসঅ্যাপ নম্ব।পেমেন্ট ও ডেলিভারি ব্যবস্থা: বিকাশ,নগদ,রকেট,ক্যাশ অন ডেলিভারি।

ডেলিভারি সার্ভিস:আপনার সুবিদা মত।কাস্টমার সার্ভিস:অর্ডার নিশ্চিত করার পর ফোন/মেসেজ করুন।সমস্যা হলে সুন্দরভাবে সমাধান দিন।রিভিউ নিতে ভুলবেন না।মার্কেটিংয়ের কৌশল:ফেসবুক বিজ্ঞাপন।কাস্টমারের ছবি বা রিভিউ শেয়ার,Giveaways বা ডিসকাউন্ট অফার

শেষ কথাঃ

মেয়েদের ঘোরে বসে আয় করা লাভ জনক ব্যাবসা ।আজকের নারীরা শুধুমাত্র স্বপ্ন দেখেন না তারা সেই স্বপ্নকে বাস্তবেও রূপ দিতে জানেন। ছোট্ট একটা উদ্যোগ হতে পারে আপনার বড় সফলতার শুরু। নিজের মেধা, মনন আর চেষ্টা দিয়ে আপনি গড়তে পারেন এক নতুন পরিচয়, নতুন পথচলা। নিজের উপর আস্থা রাখুন, নিজের কাজকে ভালোবাসুন তাহলেই সফলতা ধরা দেবে। কারণ ব্যবসা শুধু আয় নয়, এটি এক ধরনের স্বাধীনতা, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জ্যাম ফ্লোরা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url