নীলা এবং নীলই প্রেম কাহিনি

 নীলা ছিল এক সাহসী, প্রাণবন্ত মেয়ে - চোখে ছিল হাজারো স্বপ্ন। আর নীলই ছিল একটু চুপচাপ, বইপ্রেমী, মেঘের মত নরম মনের মানুষ।

এর গল্পটা আমাদের শেখায় ভালোবাসা মানেই বিশ্বাস

দুইজনের দেখা হয় এক কফি শপে, একেবারেই হঠাৎ। নীলই-এর হাত থেকে বই পড়ে গেলে, নীলা সেটা তুলে দেয় ,আর সেই মুহূর্তেই যেন কিছু একটা বদলে যায়।
নীলা,তোমার বই পড়ার স্টাইলটা বেশ মজার।
নীলই,হেসে বলল  তুমি না বললে বুঝতেই পারতাম না।

 বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা:

দেখা হতে থাকে প্রায়ই। কখনো লাইব্রেরিতে, কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে, কখনো কফির কাপে জমে ওঠা আড্ডায়।
নীলই ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তার নিঃশব্দ জীবনে নীলা যেন এক রঙিন বসন্ত।
আর নীলার কাছে, নীলই ছিল ঠিক সেই মানুষ – যে চোখের দিকে তাকিয়ে সব কথা বুঝে ফেলতে পারে।
এক সন্ধ্যায় বৃষ্টি নামল হঠাৎ।
নীলই ভিজে নীলাকে বলল,
নীলা, তোমার সঙ্গে থাকলে সব কিছু সহজ লাগে। আমি চাই তুমি আমার জীবনে থেকো সবসময়।
নীলা হেসে বলল,
তুমি খুব দেরি করে ফেলেছ, আমি তো আগেই ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়!

বাধা বা বিপত্তি:

ভালোবাসা মানেই তো শুধু রংধনু নয়।
সমাজ,পরিবার, ক্যারিয়ার – এসব কিছুই এক সময় প্রশ্ন তোলে।
কিন্তু নীলা আর নীলই ঠিক করে, তারা একে অপরকে ছাড়বে না। একসাথে সবকিছুর মোকাবিলা করবে।

কয়েক বছর পর:

এক শান্ত বিকেলে, তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলো।
নীলা বলল,
নীলই, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।
আর নীলই বলল,
তুমি না থাকলে আমি শুধু একটা অসমাপ্ত গল্প হয়ে থাকতাম।

আরও পড়ুনঃ পরবর্তী ২অধ্যায়

শেষ কথাঃ

নীলা আর নীলই-এর গল্পটা আমাদের শেখায় ভালোবাসা মানেই বিশ্বাস, ধৈর্য আর একে অপরকে বুঝে পথ চলা। তাদের জীবনের গল্প হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু ভালোবাসাটা একেবারে অসাধারণ। ভালোবাসা মানে শুধু হাত ধরা নয়, বরং একে অপরের পাশে থেকেও নীরবে সাহস জোগানো।
নীলা আর নীলই আমাদের শিখিয়ে গেছে — জীবনের পথে চলতে চলতে যদি কারও হাত পেয়ে যাও, যাকে ভালোবাসো